বিদ্রোহীদের হাতে মিয়ানমারের ৩০ সেনা নিহত


মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর অন্তত ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো ২ হাজারের বেশি মানুষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের সহিংসতা বিধ্বস্ত শান রাজ্যের নতুন এই সংঘর্ষ দেশটির নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির জন্য বড় ধাক্কা ।
উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান ও বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপের মুখে রয়েছেন সু চি। এর মাঝে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নতুন এই সংঘর্ষ সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের ভাবমূর্তিকে আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বিভিন্ন সময়ে এই রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়।

২২ আগস্ট বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গা প্রথম দফায় ফেরত নেওয়ার কথা রয়েছে মিয়ানমারের।
বুধবার থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এ খবর জানায়। যদিও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে এ খবর। ইরাবতি পত্রিকা জানিয়েছে, মিয়ানমারের শান রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ৯টি সংঘর্ষ হয়। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ৩০ সেনা নিহত এবং আরও ১৬ সেনা আহত হয়েছে।


মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ সংঘর্ষ লাসিও থেকে মিউসি পর্যন্ত মহাসড়কের কটকাই শহরতলীতে হয়েছিল বলে নৃতাত্ত্বিকজোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ মধ্যে কিছু সংঘর্ষ ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা টিকেছিল। তবে সংঘর্ষ রাত ৮টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রাহীদের ওই এলাকায় ৯টি সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানানো হয়। ব্রাদারহুড জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩০ শত্রু সেনা সদস্য নিহত হয়েছে এবং ১৬জন আহত হয়েছে। তবে বিদ্রাহীদের কয়েকজন আহত হয়েছে, কেউ মারা যায়নি।
Powered by Blogger.