আবরার আমাদের ক্ষমা করো না ! এই মৃত্যুপুরী আমাদেরই...
এমন দেশ, এমন বিদ্যাপীঠই কি আমরা চেয়েছিলাম। জাতির সূর্যসন্তানেরা, যাঁরা এই মাতৃভূমির জন্য প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের আজকের পরিণতি দেখে তাঁরা কি ভালো আছেন! এ দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিকেল কলেজ—সে বিষয়ে তো সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন এমন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবে, ভালো চাকরি পাবে, দেশের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য কিছু করবে। প্রতিটি স্বপ্নেরই বুঝি একটা দাম থাকে! সে দাম যদি কখনো সাধ্য ও সীমার অধিক হয়ে যায়, তবে সে স্বপ্ন পূরণ অথবা অপূর্ণতায় কিছু কি যায় আসে!
ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন অবশ্যই ফুরিয়ে যায়নি। এই রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের অধিকার রক্ষায়, মানুষের সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায়। ছাত্ররাজনীতি কেন কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করবে, ছাত্ররা কেন মিছিল নিয়ে কারও রাজনৈতিক সমাবেশে যাবে। তারা মিছিল করতে হলে করবে, সমাবেশ করবে— নিজেদের জন্য, নিজের অধিকার রক্ষায়। ছাত্রসংগঠনগুলো কেন কারও হাতিয়ারে পরিণত হবে।অন্ধভাবে কোনো দলকে সমর্থন, কোনো নেতাকে সেবা দেওয়ার জন্য, নিজেকে ক্ষমতার বলয়ে সম্পৃক্ত করে কিছু সুবিধা গ্রহণ, চাঁদাবাজি, সম্পদের পাহাড় গড়ার জন্য তো রাজনীতি নয় ।এমন ছাত্রহত্যার রাজনীতি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয় ।